আমি ও ঘোড়া
এই মেঠো মারফতি
লাল সুরকির সুঁড়িপথে
এসো আমার ঘোড়া
আমার আমাজন
জেগে উঠেছে জলের তোড়ে, যেন চারপাশে গীতবিতান
মউ মউ করছে
এসো আমার মাছ
তুমি সাঁতার কাটলে শিরশির করে জলের গিটার, সেতার
মহান জোড়া লন্ঠন
যেই জ্বলে ওঠে ধীরে
আমার মহাপৃথিবী কেঁপে ওঠে, জ্বরে পুড়ে যাও তুমি…
আমি শরাব,
নীলকণ্ঠ বসন্তবাউরি
গ্রহণ করো,
রাতের ব্যাকরণ ভেঙে পাবে স্লিভলেস পয়ার—বসন্ত
চুমুর অনুপ্রাসে
বেজে উঠবে
মহাজাগতিক ডুগি
গলা নামিয়ে কথা—
হ্যাঁ, এটা হতে পারে
আমার ঘোড়া চুপ
কিন্তু ঘাড় বাঁকা করে অতি ক্রোধে কাঁপতে থাকবে
আমি লাল চালের নয়নে দেখতে দেখতে রক্তিম—
বালিয়াড়িতে জল চুঁইয়ে উঠবে, শুনবে কিছুক্ষণ পর
সমুদ্রের গর্জন, ঢেউয়ের আস্ফালন, আমার লন্ঠন
কেমন করে জ্বলে ওঠে, কেমন করে জাগে আমার
ভৈরব—গলা উঁচু করে, আর ক্রমশ নেমে যাবে
তোমার গলা, আমার কণ্ঠ গানের পাখি হবে, আর
তুমি বাজিয়েই চলবে
আমার পদ্ম-দোতারা
কখনোবা আমি বাজিয়ে চলব তোমার একতারা
বৃষ্টির মতো ঝরবে
দুটি দেহের শ্লোক
মেঘমল্লার, মেঘমল্লার…
হ্যাঁ, আমার ময়দানেই ঠিক হবে—
তুমি কতটা ঘোড়া, কতটা ভেড়া…
আমি কতটা তানপুরা, বাইজি…
হ্যাঁ, আমার জলসাতেই ঠিক হবে—
তুমি কতটা বাদক, আমি কতটা
গায়ক—শেষ রাতের গানের পাখি…
ঘোড়া, তোমার মধ্যে যে শিব
আমার সমস্ত অর্ঘ্য তার পদে
সে আমার মহাদেব, রাসুল
আর তুমি ব্রহ্মা—বীর ঘোড়া
আমি নাইট হান্টার, তবে ধনুহীন; তুমি রিহ্যাব সেন্টার
ঘুমের ওষুধ দাও, নেশা যায়—
শান্ত বেড়ালের মতো শুয়ে
আমার মহাদেবের ঠোঁটে চুমু খাই, সন্ধ্যা নেমে আসে
আমার ঘোড়ার লংমার্চের সমাপনী পর্দা নামে মঞ্চে
আমার মারফতি জলসায়
অনন্ত স্বাগত আমার শাশ্বত ঘোড়া, প্রেমের কর্ড…
তোমার লংমার্চের সাথি আমি, তুমি আমার সারথি
কখনো যেন ঘুমিয়ে না যাই
আমাদের মঞ্চ, সেখানে মেঘমল্লার না থাকুক, অন্তত
খুশবু ছড়ানো দুটি মনের রথ
গুনগুন করা রবীন্দ্রসংগীত
শরীরালয় শেষে মারফতালয়
এটুকুই চাই আমাদের দ্বৈরথে…